ইসলামে শিল্পকলার ধারণা
ইসলামেও শিল্পকলার ধারণা রয়েছে, তবে তা একটি নির্দিষ্ট সীমা ও নৈতিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ। ইসলাম শিল্পকলাকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে না; বরং মানুষের সৌন্দর্যবোধ, সৃজনশীলতা ও রুচি যেন আল্লাহর নির্দেশনা অনুযায়ী সঠিক পথে ব্যবহৃত হয়, সে দিকেই গুরুত্ব দেয়।
১. সৌন্দর্যবোধের স্বীকৃতি:
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: “আল্লাহ সুন্দর, তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন।” (সহিহ মুসলিম)
অর্থাৎ ইসলাম নান্দনিকতা ও সৌন্দর্যের প্রকাশকে অনুমোদন করে, তবে তা হালাল পদ্ধতিতে হতে হবে।
২. চিত্রকলা ও ভাস্কর্য:
জীবন্ত প্রাণীর (মানুষ/প্রাণী) ছবি আঁকা বা ভাস্কর্য নির্মাণের ক্ষেত্রে ইসলামে কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে।
তবে প্রাকৃতিক দৃশ্য, গাছপালা, জ্যামিতিক নকশা, ক্যালিগ্রাফি ইত্যাদি ইসলাম অনুমোদন করে।
এজন্যই ইসলামি ¯’াপত্যে আরবেস্ক, ফুল-পাতার নকশা ও ক্যালিগ্রাফি বেশি দেখা যায়।
৩. স্থাপত্যকলা
মসজিদ, মাদরাসা, খিলান, গম্বুজ ইত্যাদি ইসলামি ¯’াপত্যকলার অনন্য দৃষ্টান্ত।
উদাহরণ: কাবা শরীফ, মসজিদে নববী, বাদশাহী মসজিদ, ষাট গম্বুজ মসজিদ।
৪. সঙ্গীত ও নৃত্য
ইসলামে গ্রহণযোগ্য মতানুসারে বাদ্যযন্ত্রভিত্তিক সঙ্গীত নাজায়েয। তবে কণ্ঠভিত্তিক হালাল নাশিদ/কাওয়ালী ইত্যাদি অনুমোদিত। যেমন- হামদ, নাত দেশত্ববোধক সঙ্গীত, ইসলামি তারানা ইত্যাদি।
নৃত্য ইসলাম অনুমোদন করে না, এতে অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা ছড়িয়ে পরে।
৫. সাহিত্য ও কবিতা
ইসলাম সাহিত্যকে স্বীকৃতি দিয়েছে। কুরআন নিজেই আরবি ভাষার শ্রেষ্ঠ সাহিত্যকর্ম। কবিতার প্রশংসা কুরআন ও হাদীসে এসেছে, তবে কবিতার বিষয়বস্তু হতে হবে সত্য, নৈতিক ও ইসলামসম্মত।
যেমন: হযরত হাসান ইবনে সাবিত (রা.) ছিলেন রাসূল ﷺ এর কবি।
৬. হস্তশিল্প ও কারুকাজ
ইসলাম সুন্দর পোশাক, নকশা, সূচিকর্ম, অলঙ্কার ইত্যাদি অনুমোদন করেছে, যদি তাতে অপচয় বা হারাম কিছু না থাকে।
সারসংক্ষেপ:
ইসলামে শিল্পকলা মানে হলো-আল্লাহপ্রদত্ত সৌন্দর্যবোধ ও সৃজনশীলতা এমনভাবে ব্যবহার করা, যাতে তাতে আল্লাহর মহিমা প্রকাশ পায় এবং কোনো প্রকার শিরক, অশ্লীলতা বা হারাম বিষয়ের ¯’ান না থাকে।
লক্ষ্য, উদ্দেশ্য
লক্ষ্যইসলামী শিল্পকলার মাধ্যমে আধ্যাত্মিক, নৈতিক ও নান্দনিক চেতনার বিকাশ ঘটিয়ে বাংলাদেশসহ বৈশ্বিক অঙ্গনে একটি আদর্শ কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া। উদ্দেশ্য
ক. ইসলামী ঐতিহ্য, শিল্পকলা ও সংস্কৃতির গবেষণা, সংরক্ষণ ও নবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখা।
খ. কুরআন, হাদীস, আরবি ক্যালিগ্রাফি, ইসলামিক স্থাপত্য, নকশা, সংগীত, সাহিত্য ও হস্তশিল্পের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদান।
গ. শিল্পকলার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে সৃজনশীলতা, আধ্যাত্মিকতা, নৈতিকতা ও সুস্থ সংস্কৃতির পথে উদ্বুদ্ধ করা।
ঘ. প্রদর্শনী, কর্মশালা, সেমিনার ও প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ইসলামী শিল্পকলার প্রসার ঘটানো।
ঙ. দেশি-বিদেশি শিল্পী, গবেষক ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সহযোগিতা গড়ে তুলে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিল্পচর্চা
নিশ্চিত করা।
চ. প্রকাশনা, জার্নাল ও মাল্টিমিডিয়া উদ্যোগের মাধ্যমে ইসলামী শিল্পকলাকে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করা।
পরিচালনা পর্ষদ
ইনস্টিটিউটের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ

মুফতি হাফিজুর রহমান
চেয়ারম্যান
ইমাম ও খতিব - গোপালগঞ্জ জেলা কোর্ট মসজিদ
- ফোন:০ ১ ৭ ১ ৮ ০ ৪ ৫ ৭ ৫ ৭

মুফতি মাসউদুর রহমান
ভাইস চেয়ারম্যান
মোহতামেম -শাহেদা জান্নাতিয়া মাদরাসা, কোটালীপাড়া
- ফোন:০১৭১২ ৫৭৮১৮১

মাও. নাসির আহমদ
ভাইস চেয়ারম্যান
মোহতামেম -সুলতানশাহী মাদরাসা, গোপালগঞ্জ
- ফোন:০১৯১২ ৬৮৬৩০০

মুফতি মোমিনুল হাসান
মহাসচিব
সিনিয়র শিক্ষক - গয়েশ্বরদা মাদরাসা, টুঙ্গিপাড়া
- ফোন:০১৯১১ ৭২৩২৪৪

মুফতি ইসমাইল
যুগ্ম-মহাসচিব
মোহতামেম - মুআজ বিন জাবাল মাদরাসা, টুঙ্গিপাড়া
- ফোন:০১৯২৫ ৭৮৯৪৮৯

মাও. ফরহাদ আলম
কোষাধ্যক্ষ
মোহাতেমেম-নাল্লায়া মাদরাসা, গোপালগঞ্জ
- ফোন:০১৯২৫ ৩৪৫২১৪

মাও. শরীফ আনিসুর রহমান
সাংগঠনিক সম্পাদক
পরিচালক - আলামিন মাদরাসা, গোপালগঞ্জ
- ফোন:০১৭১২ ৮০০০০৬

মুফতি শুয়াইব ইবরাহীম
যুগ্ম-মহাসচিব
পরিচালক - খাইরুল মাদানিস একাডেমি, গোপালগঞ্জ
- ফোন:০১৯২৫ ৭৮৯৪৮৯

মুফতি আহমাদুল্লাহ
শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক
মোহাতেমেম-দারুল ঈমান মাদরাসা, কোটালীপাড়া
- ফোন:০১৯২৬ ০৪৯৮৪০

মুফতি ওয়াহিদ উল্লাহ
সদস্য
ইমাম ও খতিব - জেলা মডেল মসজিদ
- ফোন:০১৭১৭ ২৮৪৮৪৫

মাও. মাহফুজ হাসান
সদস্য
মোহাতেমেম-কুলপাশা মাদরাসা, কোটালীপাড়া
- ফোন:০১৮২৬ ২০৪৬৫৮

মাও. আবুল করিম
সদস্য
মোহাতেমেম-মারকাযুল উলূম মাদরাসা, কাশিয়ানী
- ফোন:০১৮২০ ২৬৪৮১৯

মুফতি আব্দুল্লাহ আল-মানুন
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক
ইমাম ও খতিব - গোপালগঞ্জ কেন্দ্রীয় মসজিদ
- ফোন:০১৭১৬ ৮২৪৩২৪

মাও. আবুল কাইয়ুম
সদস্য
নাযেমে মোহাতেমেম-মহারাজপুর মাদরাসা, টুঙ্গিপাড়া
- ফোন:০১৭১৮ ৪১০১৮৩

মাও. আব্দুল্লাহ
সদস্য
নাযেমে মোহাতেমেম-মহারাজপুর মাদরাসা, মুকসুদপুর
- ফোন:০১৯৩১ ৯৩৮৯৯৩